শীতের খাদ্য তালিকা আমরা জানি শীতকাল সেরা মৌসুম গুলোর মধ্যে একটি ঋতু । যেমন গরম কালে তাপমাএা বেশি হওয়ায় শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দেয় যার থেকে নানাবিধ সমস্যা উৎপন্ন হয়। বর্ষা কালে নানাবিধ পানি বাহিত রোগ জীবাণু জড়ায়। ঠিক তেমন শীতকালে তাপমাত্রা কম হওয়ায় দেহে তাপ উৎপন্ন করার জন্য অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে হয়। যার কারনে দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক কমে যায়।
যেহেতু শীত কালে আপনার শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যাবহার করা হয়ে তাকে । অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহারের ফলে আপনার নানা রকম রোগে আক্তান্ত হওয়ার সম্ভবানা থাকে। শীত কালে যে রোগগুলো হল- ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট নানা রকম ইনফেকশন। শীতের খাদ্য তালিকা
শীতকালে নিউমোনিয়া মারাত্নকভাবে আক্তান্ত করে থাকে। শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকার কারনে রক্ত চলাচলের গতি কমে আসে যার ফলে সাইনুসাইটিস , অ্যাজমা ইত্যাদি নানা রোগ তীব্র ভাবে আক্তান্ত করে থাকে।
যে খাবার গুলো খেলে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠে। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে আসুন জেনে নেই শীতের খাদ্য তালিকা।
ঘি:
ঘি বলাতে অনেকে হয়তো ভাবছেন মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। হ্যা কিন্ত সীমিত পরিমান ঘি খেলে স্বাস্থের পক্ষে অনেক উপকারি। কারন ঘিতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা শরীরের তাপমাএা বাড়িয়ে দেয়।
মাখন:
পুষ্টিকর খাবরের মধ্যে একটি মাখন। সামন্য পরিমানে মাখন খেলেই শীতকালে দেহের তাপমাত্তা স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম কারন এতে রয়েছে উচ্চমাএার ক্যালরি এবং চর্বি।
টমেটো:
টমেটো শীত কালে সবজি টমেটোতে আছে ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তিশালী করে তুলবে । প্রতিদিন ৫ টা টমেটো খেলে অনেক উপকার পাবেন।
আদা
আদার গুণের কথা সবাই জানে। আয়ুর্বেদি ঔষুধের ক্ষেত্রে আদার স্থান অনেক উপরে। খালি পেটে আদা খেলে পেটের সমস্যা বদহজম এবং বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে
ভাবছেন কি ভাবে খেতে হবে ?
- প্রথমে বড় এক টুকরো আদা নিন
- একলিটার পানিতে আদা পিশেঁ কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিন।
- ১২ ঘন্টা পরে ছেঁকে বোতলে রাখুন।
- দিনে ২ বার অল্প অল্প করে পান করুন
যা পেটের ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে কোলনের ইন্টারনিস্ট ডাক্তার ক্লাউস ইয়ুর্গেন স্ল্যুইটার বলেছেন
রসুন
শীতে নিয়মিত রসুনের কয়েক দানা খালি পেটে খান। শীতের সর্দি জ্বর ও অন্যান্য রোগ বলাই প্রতিরোধ করবে।
শীতের মৌসমে শীতের মৌসুমি ফল খান যেমন কমলালেবু, আপেল, মাল্টা ইত্যাদি নানা রকম ফলমূল সবজি গ্রহন করুন। এগুলোর মধ্যে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের সজীবতা বজায় রাখে। সতেজ ফল ও সবজিতে বায়োটিন রয়েছে যা ত্বক ও চুল ভাল রাখে।
শীতে ত্বক শুল্ক হয়ে যায়। ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাদাম মাছ নানা রকম সবজি বেশি করে খান। কারন এতে তাকে ফ্যাটি এসিড। শীতে শরীর গরম রাখার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খান যা শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে।
শীতে আপনার ঠান্ডা লাগা থেকে বাচঁতে চান ?
তাহলে রোজ ৩ কাপ গ্রিন-টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্টের যা সহজে ঠান্ডা লাগতে দেয় না।
তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকাতে উপরের সহজ পদ্ধতি গুরো যোগ করার শেষ্টা করুন
পরিশেষে বলতে পারি শীতে সুস্থ থাকতে হলে উপরের নিয়মাবলী অনুসরণের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে এবং উষ্ণ পোশাক পরিধান করতে হবে। নিয়মিত আপডেট হেলথ টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।