পিত্তথলির পাথর হলে করণীয় বর্তমানে পিত্তথলির পাথর হওয়া আমাদের দেশে একটি কমন বিষয়। আমাদের দেশের সকল মানুষই কম বেশী ভাবে এই রোগটির সাথে জড়িত। আমারা অনেক মানুষকে এই রোগে ধাবিত হতে দেখে থাকি। অভাক করার বিষয় হলো যে এই রোগটি আজ মহামারি আকারে ঘটছে। কম বা বেশী যে কোনো বয়সের মানুষের পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে । পিত্তথলির পাথর কেন ও কি কি কারনে হয় এ সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত জানব । আরও আমরা জানব পিত্তথলির পাথর রোধের প্রাকৃতিক উপায়।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ৫টি সঠিক কারণ :-
প্রতোক রোগের পেচনে কিছু না কিছু কারণ থাকে । তেমনি পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার পেচনে বেশ কিছৃ কারণ রয়েছে। মূলত চলিশোর্ধ নারীদের মধো এ রোগের সমাবেশ বেশী দেখা যায়। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার পেছনে যে সকল কারণ রয়েছে নিচে তা দেওয়া হলো:-…….
১। সাধারণত শিশুদের রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে পাথর হতে পারে ।
২। শারীরীক পরিশ্রম কম করার ফলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। পরিবারে গলব্লাডারে কারো পাথর থাকলে অন্যদেরও পাথর হওয়ার আশংকা থাকে।
৪। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সারা বছর ধরে খেলে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে।
৫। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে যারা হরমোন নেন ও নিয়মিত পিল খান তাদের পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর কাদের বেশী হয়………?
পিত্তথলির পাথর হলে করণীয় পিত্তথলিতে পাথর আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা। সাধারণত বাংলাদেশ ও ভারতে এ সমস্যা বেশী হতে দেখা যায়। পিত্তথলিতে পাথর কেন হয় তা বলা সহজ নয় কিন্তু এটা বলা যায় যে পিত্তলিতে পাথর মেয়েদের বেশী হয়ে থাকে। শতকরা প্রায় ৬৬ ভাগ মেয়েদের পিত্তথলিতে পাথর হয়ে থাকে্। যারা আমরা মেডিকেল কলেজে পড়া শোনা করি সকলি জানি, ফাইভ এফ ফেক্টর বলে একটি কথা আছে। সাধারণত মোটা, ফরর্সা, সুন্দরি ও ৪০ বছরের মেয়েদের পিত্তথলিতে পাথর বেশী হয়ে থাকে।
প্রশ্ন হলো এর বাইরে কি হতে পারে না…….?
নির্শ্চই, পুরুষদের পিত্তথলিতেও পাথর হতে পারে। আমরা প্রতিনিয়তই দেখে তাকি প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
পিত্তথলির পাথর হলে করণীয়…….?
পিত্তথলিতে পাথর হলে ভয়ের কিছু নেই। সমস্যা যেখানে সমাধান সেখানে। সমাধান আছে বলেই সমস্যার জন্ম। আমরা কিছু করণীয় দিক অনুসরণ করে পিত্তথলির পাথর রোধের প্রাকৃতিক উপায় বের ও পিত্তথলির পাথরের সমস্যার সমাধান করতে পারি।
১। গাজরের জুস ও বিটরুট:-গাজর ও বিটরুটের জুস খাওয়ার মাধ্যমে আমরা সমস্যা অনেকটা এরিয়ে তুলতে পারি।
২। আঁশযুক্ত খাবার:-উচ্চ ফাইবার ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার গ্রহণের মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর দূর করা সম্ভব।
৩। হলুদ:-পিত্তথলির পাথর রোধে হলুদ একটি কার্যকারি উপাদান যা প্রতিদিন আধ চামচ হলুদ খেলে পিওথলির পাথর ৮০% কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। সবজি:-আমরা দৈনন্দিন খাবারের সাথে উচ্চ ফাইবার জাতীয় খাবার যোগ করে আমাদের দেহকে সুসাস্থকর রাখতে ও পিত্তথলির পাথর রোধ করতে অনেকটা সহায়তা করবে।
পিত্তথলির পাথর বুঝার লক্ষণসমূহ :-
সাধারণত কোনো মানুষের পিত্তথলিতে পাথর হলে কিছু লক্ষণঅনুধাবন করা যায়। যে লক্ষণগুলো হলে বুঝতে হবে পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে নিচে লক্ষণগুলো দেওয়ো হলো :-
- ঘাম অতিরিক্ত হওয়া।
- দ্রুত খিচুনি।
- জ্বর জ্বর ভাব।
- ফেনা ফেনা ও পাতলা পায়খানা।
- চোখ ও চামড়া হলুদ হওয়া।
পিত্তথলির পাথর দূর করণের চিকিৎসা……?
পিত্তথলিতে পাথর হলে ভয় বা চিন্তার কোনো অভকাশ নেই। আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নত মানের চিকিৎসার ফলে যে কোনো ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে পিত্তথলির পাথর দূর করার অনেক পন্থা রয়েছে । তনাধ্যে সর্বশেষ চিকিৎসা হল অপারেশন। অপারেশনের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের পাথর বের করা সম্ভব।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে , সাস্থ্য বিষয়ে একটি প্রবাদ বলতে পারিযে, “ Money is lost, nothing is lost. Health is lost , something is lost.” তাই আমাদের সকল প্রকার রোগ জীবাণু থেকে দুরে থাকতে হবে। আমাদের সুখকর সাস্থ্য ধারণ করতে হবে এবং পিত্তথলির পাথর ছাড়াও আরো অনান্য স্থানে পাথর হতে পারে এ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আরো ভিবিন্ন ধরনের disease সম্পর্কে জানতে আমাদের rent.winstarit.com এর সাথে থাকুন।
“ সবাইকে ধন্যবাদ “