মোবাইল ব্যাংকিং কি বর্তমানে আমরা আধুনিক বিশ্বে বসবাস করি। প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রসার ঘটিয়ে বিশ্বকে এখন হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। আর বিশ্বের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের দেশ এখন সবার সাথে পায়ে পায়ে তাল মিলিয়ে চলছে। তাই বর্তমান সরকার ও বর্তমান প্রজন্ম দেশকে আধুনিক ও প্রযুক্তির মাধ্যমে রুপান্তর করার জন্য সর্বোপুরি প্রচেষ্টা করছ। তাই বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল করার অঙ্গীকার নিয়েছেন। তাই দেশকে রুপায়ন করার জন্য দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেন। আর এই সেবা চালু করাতে দেশের মানুষ ধারুন ভাবে উপকৃত হয়েছে ।
মোবাইল ব্যাংকিং কি এর বিপ্লব
ইউরোপীয়ান ব্যাংক ১৯৯৯ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেন । তখনকার সময় স্মার্ট ফোনের ওয়াপ পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকরা যাতে খুব সহজেই আর্থিক লেনদেন করতে পারে তাই এই সেবা চালু করেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়। ২৮ টি ব্যাংক এর অনুমোদনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা হয়।
মোবাইল ব্যাংকিং কি?
মোবাইল ব্যাংকিং হল মোবাইলের মাধ্যমে কোন আর্থিক প্রতিষ্টানের গ্রাহক যেকোন ধরনের আর্থিক লেনেদন করতে পারে তাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে। মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংক এর যাবতীয় কার্যক্রম নিযন্ত্রন করার হল মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক মোবাইল ব্যাংকি সেবা রয়েছে। সর্বপ্রথম চারটি ব্যাংক এই সেবা চালু করেন। যথা-ব্রাক ব্যাংক( বিকাশ), ডাটবাংলা ব্যাংক, মারকেন্টাইল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক। বর্তমানে আরো অনেক ব্যাংক এই সেবার সঙ্গে রয়েছেন। তাছাড়া দেশের ছয়টি সিম কোম্পানি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলার জন্য করনীয় কি?
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পেতে হলে প্রথমে গ্রাহকে যকোন একটি দেশীয় সিম নাম্বার প্রয়োজন। তারপর গ্রাহকে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক এজেন্টদের কাছে গিয়ে ফরম (যে যার কোম্পানির নিয়মাবলী ও শর্তবলী দেওয়া থাকে) পূরণ করে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট চালু হওয়ার পর মোবাইলের মাধ্যমে একজন গ্রাহক মোবাইল আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি কি?
মোবাইল ব্যাংকিং কি? বর্তমান বিশ্বে আধুনিক উন্নয়নের মধ্য মোবাইল ব্যাংকিং একটি অন্যতম। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দ্রুত সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম করা যায়। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই দেশ-বিদেশে সকল জায়গা থেকে টাকা আদান-প্রদান করা যায়। তাতে গ্রাহকদের ভুগান্তির মধ্য পড়তে হয় না। আগের দিনের মত টাকা পাটানো নিয়ে টেনসন করতে হয় না। আর মোবাইল ব্যাংকিং এর টাকা উত্তোলনের জন্য দেশের সকল স্থানে এজেন্ট দেওয়া আছে। যাতে গ্রাহকরা কিছু কমিশন দিয়ে সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারে। টাকা উত্তোলনের জন্য আরকটি সুবিধা দেওয়া আছে । তা হল গ্রাহকরা এটিএম এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সেবা নিতে পারেন। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফোনে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে অনেক ধরনের বিল পরিশোধ করা যায়। যেমন- বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল আরো অন্যান বিল ইত্যাদি। ব্যাংক একাউন্ট হতে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে লেনদেন করা যায় আবার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হতে ব্যাংক একাউন্টে টাকা লেনদেন করা যায়। দেশের বিভিন্ন খাতে এখন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যাতে সহজেই বেতন ভাতা দিতে পারে তার জন্য এই সেবা চালু করেছে। তার মাধ্যমে কেনাকাটার বিল প্যামেন্ট করা যায়। এই ব্যাংকিং সেবা চালু করায় গ্রামীন মানুষদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা সমূহ কি কি?
মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা । এই সেবা বেশির ভাগ গ্রামীন মানুষেরা নিয়ে তাকে । আজকাল শুনা যায় অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। আর সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা একজন গ্রাহক আদান-প্রদান করতে পারবেন । এই লেনদেনের মাধ্যমে তেমন কোন তথ্য তাকে না শুধু মাত্র মোবাইল ন্বামার ছাড়া। তার জন্য ঝুঁকি বেশি থাকে। কারন এর মাধ্যমে কার কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে কেন পাঠানো হচ্ছে তা জানা যায় না। তাই সহজেই একজন ব্যক্তি অবৈধ কাজ করতে পারে ।
বিঃদ্রঃ সবাই এই ধরনের প্রতারক ও প্রতারনা থেকে দূরে থাকুন।
ধন্যবাদ।