সৌন্দর্য টিপস একটা মানুষের সৌন্দর্যের প্রথম উৎস হল তার ত্বক। তার ত্বক যদি কোমল কিংবা নমনীয় না থাকে তাহলে তাকে কুৎসিত দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। আর বর্তমান বাজারে এমন অনেক প্রসাধনী পাওয়া যায় ত্বক সুন্দর রাখার জন্য। কিন্তু এই গুলো কখনও দীর্ঘ স্থায়ী করে তুলবে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পার্শপ্রতিক্রিয়া হয়ে মুখের আর দেহের মধ্যে অনেক ধরনের দাগ পড়ে যায়। তাই আমি মনে করি যে বাজারের এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার না করাই উচিত। কেননা আপনি যদি ত্বকরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে গিয়ে আপনার ত্বকের লাব্যণ দীর্ঘ স্থায়ী না হয় এবং ত্বকের মধ্যে দাগ পড়ে যায়, তাহলে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। অনেক গবেষকরা গবেষনা করে দেখেছেন যে, সতর্কতার সাথে কিছু খাবার গ্রহন করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। সৌন্দর্য টিপস আর প্রাকৃতিক খাবার গ্রহনের মাধ্যমে ত্বকের সৌন্দর্য হবে দীর্ঘ স্থায়ী এবং সাথে পাবেন সু-স্বাস্থ্য। তাই আজ আমরা জেনে নিব কি ধরনের খাবার গ্রহন করতে হবে ত্বকের সৌন্দর্যের বৃদ্ধির জন্য।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যে সাতটি খাবার সৌন্দর্য টিপস
১.শাক-সবজি:
শাক-সবজি খবারটি মানবদেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন কি? শাক-সবজি শরীরের সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। আমাদের মানব দেহের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর ত্বকের জন্য কোন কথা নেই। অনেক স্বাস্থবীদ গবেষণা করে দেখেছেন যে, শাক-সবজির মধ্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ক্যারোটিনোড রয়েছে। যা ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে ও ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়।এবং সূর্য রশ্মি হতে ত্বক রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই খাবারে প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি খেলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য অবশ্যই দীর্ঘ স্থায়ী হবে। আর একটি বিষয় হল, শাক-সবজি যদি সবুজ রং এর হয় তাহলে আরও বেশি কার্যকরী হয়।
২. মাছ:
আমরা মাছে বাঙালিরা খাবার খাওয়ার সময় মাছ দিয়ে খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি। মাছ ছাড়া খাবর খেলে যেন আমরা অতৃপ্তি বোধ করি। আর এই মাছ আমাদের দেহের জন্য কতটা উপকারী জানেন? মাছের মধ্য থাকা প্রচুর আমিষ দেহের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে কাজ করে। আর ত্বকের জন্য বিশেষ একটি খাবার। মাছের মধ্যে সামুদ্রিক মাছ গুলো ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অন্য রকম কাজ করে। সামুদ্রিক মাছ গুলো হয় ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ।
৩. কাজু বাদাম:
অনেক গবেষকরা দেখেছেন যে, ত্বকের আদ্রতা উন্নত করার জন্য কাজু বাদাম খুবই উপকারি। কেননা এতে রয়েছে ভিটামিন- এ, বি এবং সি। আর আমাদের শরীরে মধ্যে থাকা কোলস্টরোল নিয়ন্ত্রন রাখে। যা শরীরে ত্বক কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এবং ত্বকের ভিতরে থাকা কোষ গুলিকে সক্রিয় রাখে।
৪. পানি:
যদিও আমরা জানি যে পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক লোক জানি হয়ত যে, পানি আমাদের মানব দেহের কি কি কাজে লাগে। সঠিক পরিমাণে পানি পানের ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর ত্বকের উজ্জলতার বৃদ্ধির জন্য পানি একটি অতুলোনীয় খাবার। আপনি নিয়মিত প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন ফলে দেখবেন যে ত্বকের সৌন্দর্যতা কতটা উন্নত। আর যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। তাই অবশ্যই নিয়মিত পানি পান করার অভ্যাস করুন।
৫. ফল:
ফল আমাদের স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। তার মধ্যে ত্বকের ক্ষেত্রে বিশেষ একটি উপাদান। তাই আমারা ফল খেতে চেষ্টা করব। আর ফলের মধ্যে লাল রং এর ফল গুলো ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করে।
৬. ডাবের পানি:
আমরা হয়ত অনেই জানি কিংবা হয়ত জানি না যে ডাবের পানি ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। আপনি জানে কি নিয়মিত ডাবের পানি পানের ফলে আপনার ত্বকের উজ্জলতা কখনও হারাবে না। কারণ এতে আছে মিনারেলস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড, ফসফরাস ও ভিটামিন- বি১, বি২, বি৩ এবং সি ইত্যাদি। আর যদি আপনার মুখের ব্রন কিংবা মেছতা বা দাগ হয়ে যায় তাহলে ডাবের পানি দিয়ে প্রতিদিন মুখ ধৌত করবেন দেখবেন কোন কিছুই থাকবে না।
৭. হলুদ:
প্রাচীন কাল থেকে গবেষকরা হলুদ খাবারটি ত্বকের উন্নতীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন। হলুদ চর্মরোগের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করে। ত্বকের মধ্যে থাকা কোষ গুলোকে সচ্ছল রাখতে সাহায্য করে।
2 Comments