পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যথা কথাটা শুনতেই কেমন যেন ভয় হয় তাই না? কারন ব্যথায় যে ভোগেছে সেই জানে কতটা যন্ত্রনাদায়ক। আর পেটে ব্যথা তো সহ্য করার মত না। পেটে ব্যথা মানুষের অস্বাভাবিক কিছু নয় এটি একটি স্বাভাবিক সমস্যা। এটা আমাদের সবার জীবনে কোন না কোন এক সময় ভোগিয়েছে। আর যেই ভোগেছে সেই জানে এটা যে কতটা যন্ত্রনাদায়ক। যে কোন কারণে যে কোন সময় পেটে ব্যথা হতেই পারে এটাই স্বাভাবিকত। এতে হতাশ আর চিন্তিত হওয়ার কিছুই নাই। কিন্তু পেটে ব্যথা শুরু হলে যত তারাতারি সম্ভব তা নিরাময় করা। কারন তা না হলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই যদি আপনি পেটে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে ঘরোয়া ভাবে কিছু উপায়ের মাধ্যমে পেটে ব্যথা সমাধান করা সম্ভব। আর যদি তা কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়?
আজ আমরা পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় নিয়ে সম্পূর্ন আলোচনা করব।
কি কারনে পেটে ব্যথা হয়ে তাকে?
সাধারনত পেটে হয়ে তাকে আমাদের আজেবাজে খাবার খাওয়া থেকে। কারন এই ধরনের খাবার ফলে ফুড ফয়জেনিং হয় যার ফলে পেটে ব্যথা শুরু হয়ে থাকে। অনেক সময় বেশি খাবার খেলে বদহজম হয়ে থাকে আর সেই থেকে পেটে হয়ে থাকে। অ্যাসিডিটি কারনে পেটে ব্যথা হয়। মাসিকের জন্য, খাবারে অ্যালার্জি, এপেন্ডিসাইটিস, গ্যাসের সমস্যা, কিডনিতে পাথর থাকলে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। যদি ঘনঘন পেটে ব্যথা এবং এর সাথে বমি, খাদ্যে অনীহা, খেতে না পারা,জ্বর, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া,প্রস্রাব-পায়খানায় সমস্যা হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
সৌন্দর্য টিপস যে ৭ টি খাবার গ্রহনে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পারবেন
কি কি ধরনের পেটে ব্যথা হয়?
পেটে ব্যথা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যদি আপনি না জানে কি ধরনের পেটে হয়েছে তাহলে তো ঔষধ কিংবা ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে সমস্যা হতে পারে। তাই সর্ব প্রথম জানা প্রয়োজন যে কি ধরনের পেটে ব্যথা হয়েছে।
১. অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়ার ব্যথা
২. অরুচি এবং বদহজম জনিত পেটে ব্যথা
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার কারনে পেটে ব্যথা
৪. ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি জনিত পেটে ব্যথা
৫. নারীদের মাসিক জনিত পেটে ব্যথা
কি ধরনের উপায় ব্যবহার করলে পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়?
গ্যাস্ট্রিক থেকে বাচার উপায় ও দ্রুত মুক্তি লাভের কার্যকরি টিপস
কিছু উপায়ের মাধ্যমে সামন্য ধরনের পেটে ব্যথা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। তাই আজ এখনই আমরা তা জেনে নিব। কারণ বলা তো যায় না কার জন্য এই ধরনের সমস্যা অপেক্ষা করছে। আর পেটে ব্যথা কখন যে কার হঠাৎ করে শুরু হয়ে যায় তা বলা যায় না। তাই যদিও পেটে ব্যথা হয়, কিন্তু বাসায় ঔষধ নাই বা হাসপাতাল যাওয়া সম্ভব না। ব্যথা সহ্য করতে পারছেন না তাহলে এখন আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নাই। কারন কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে এর তেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা : আদা এমন একটি ভেষজ যা প্রচীন কাল থেকে মানুষ তা জেনে আসছে। তাই যদি আপনি মনে করেন যে গ্যাস কিংবা বদহজম থেকে ব্যথা অনুভব করছেন। তাহলে তার থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে আদা খেতে পারেন। এক টুকরো আদার সঙ্গে লেবুর রস ও হালকা লবন মিশিয়ে খেয়ে দেখবেন আপনার গ্যাস ও বদহজম কেটে গেছে। কারন আদা আপনার পেটের মধ্যে তাকা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায় ঘরোয়া টিপস
লেবুর রস : লেবুর রস আপনার সামান্য পেটের ব্যথা দূর করতে খুব তারাতারি কাজ করে। যদি আপনি দখেন পেটের ব্যথা সহ্য করার মত তাহলে একটি লেবু চিপে রসটা পাত্রের মধ্যে নিন এবং তার সাথে এক চামচ মধু মিশেয়ে নিন। তারপর এক গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেকটা স্বস্তি পাবেন। আর একটা কাজ করেতে পারেন চা এর সাথে লেবু মিশিয়ে তার মধ্যে মধু দিয়ে খেতে পারেন অনেকটা কাজে আসবে।
কিসমিশ : যদি আপনি অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়া ভোগে পেটে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে প্রতিদিন কিসমিশি খাওয়ার অভ্যাস করতে পাড়েন। কিসমিশ খেলে আমাদের পেটের খাবারকে পাকস্থলী থেকে নিচে নামাতে সাহায্য করে। আর পেটের কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর হয়। তাই প্রতিদিন এক মুঠো কিসমিশ পানির মধ্যে ভিজিয়ে সকালে খাবেন দেখবেন এই ধরনের পীড়া থাকবেনা।
মানুষের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন
বেদানার রস : ডিসেন্ট্রিজনিত ও ডায়রিয়া ব্যথা হলে দিনে দুই বার এক কাপ বেদানার রস খাবেন দেখবেন ব্যথা থাকবে না।
তুলসি পাতার রস : যদি নারীদের মাসিক জনিত ব্যথা হয়ে থাকে। তাহলে তুলসী পাতা ছেচেঁ, তিন চামচ রস, এক কাপ হালকা গরম পানির মধ্যে মিশিয়ে তিন বার করে দিনে খাবেন দেখবেন ব্যথা থাকবে না।
বিঃদ্রঃ যদি দেখেন ব্যথা সহ্য করার মত না তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের স্বরনাপন্য হতে হবে।
ধন্যবাদ।
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় ?
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়?
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় ?