গ্যাস্ট্রিক থেকে বাচার উপায়, গ্যাস্টিক আমাদের মানব দেহের একটি কমন অসুখ। যা আমাদের সবার কম বেশি কোন কোন সময় হয়ে থাকে। এই রোগের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বেশির ভাগ আজে-বাজে খাবার খেলে। কারন এই ধরনের খাবার খেলে পেটের মধ্যে প্রচুর পরিমানে এঅ্যাসিডি তৈরি হয় তাই গ্যাস্টিক তৈরি হয়। আর গ্যাস্টিক হওয়ার আর একটি বড় কারণ হল সময় মত খাবার না খাওয়া। আমরা বেশির ভাগ সময় আমাদের তিন বেলা খাবার সময় মত খাই না। যদিও খাই অনেক সময় তাহলে অন্যান আজে-বাজে কিছু খেয়ে পেটের ক্ষুধা নিবারন করছি। তাই আমাদের মানব দেহে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমরা নিজেরা কাজের প্রতি এতটা মনোযোগী হয়ে যায় যে খাবার কথা মনে তাকে না। আর একটু একটু করে আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাই আমরা যগ্যাস্ট্রিক থেকে বাচার উপায় নিয়ে এসেছি গ্যাস্টিক সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব ইনসআল্লাহ।
গ্যাস্ট্রিক থেকে বাচার উপায় দূর করা যায়?
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যে কোন কিছু খাওয়ার আগেই তাকে গ্যাস্টিকের একটি ট্যাবলেট খেতে হয়। এই অভাস মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারন বেশি পরিমান গ্যাস্টিক নাশক ঔষধ সেবনের ফলে আমাদের আলসারের সমস্যা হয়ে থাকে। আর আমরা উক্ত সমস্যা দূর করার জন্য শুধুমাত্র ঔষধের উপরই নির্ভর করি। যা আসলে সম্পূর্ণ ঠিক নয়। তাই আমাদের উচিত যে, গ্যাস্টিক দূর করার জন্য এই ভাবে ঔষধ সেবন না করে ঘরোয়া ভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলা।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক থেকে বাচার উপায়
১. আধা: প্রাচীন কাল থেকে আমরা শুনে আসছি যে আধা একটি খুবই উপকারি খাবার। কারন আধার খাওয়ার ফলে পেটের মধ্যে বধ হজম সহজেই দূর করে পেলে। এক টুকরো আধার মধ্যে হালকা লবন মিশিয়ে খান দেখবেন গ্যাস্টিকের মধ্য অনেক উপকার পাবেন। তাই যাদের গ্যাস্টিক সমস্যা তারা আধা খেয়ে দেখতে পারেন সাথে সাথে উপকৃত হবেন। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকার মধ্য আধা খাওয়ার অভাস করুন গ্যাস্টিক সমস্যা থাকবেনা।
২. ধারচিনি: ধারচিনি এমন একটি মসলা যা গ্যাস্টিক দূর করার জন্য ধারুন ভাবে কাজ করে। কারন এটি মানব দেহের মধ্যে তাকা গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। তাই হালকা গরম পানিতে ধারচিনি গুড়ো মিশিয়ে খান দেখবেন গ্যাসটিক থেকে মুক্তি পাবেন। আর একটি অভ্যাস করতে পারেন ধারচিনি চাল কাচা খেতে পারেন।
৩. রসুন: গ্যাস্টিকের জন্য রসুন এমন একটি ভেষজ যা সাথে সাথে কাজ করে। তাই আমাদের এই অভ্যাস করা উচিতি যে প্রতিদিন তিন থেকে চার কোয়া রসুন খাওয়া।
৪. বেশি পরিমানে পানি পান করা: যদিও আমরা জানি পানির অপর নাম জীবন। তা কিন্তু সত্যই্। কারন বেশি পরিমান পানি পানের ফলে আপনি শুধুই গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাবেন না অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আর বেশি পরিমানের পানি খেলে আপনি কখনও গ্যাস্টিকের সমস্যার মধ্যে পড়বেন না। তাই প্রতিদিন আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
৫. কালোজিরা: জিরা খেলে আপনার বদহজম হসজেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়া জিরা খেলে এঅ্যাসিডি থেকে মুক্তি দেয়। পেটের আলসার দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতি এক মুট কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
গ্যাস্ট্রিক থেকে বাচার উপায়, গ্যাস্টিক দূর করার জন্য আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমাদের খাবার তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত খাবার খেতে হবে, আজে-বাজে খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত ঘুমাতে হবে, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি নিতে হবে। ধুমপান দূর করতে হবে। যথাসম্ভব ঔষধ সেবন দূর করতে হবে। বেশি সমস্যা হলে অব্যশই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারন গ্যাস্টিকের সমস্যা বেশি হলে পেটে ব্যথা ও পাকস্থলী ফুটো হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ধন্যবাদ।
2 Comments