বর্তমানে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির আমুল্য অবদানের ফলে বাংলাদেশে লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্যর ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সকল ব্যাংক গুলো বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্র-যাত্রায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। আর এই অগ্র-যাত্রাকে সফল করতে ও দেশের আর্থিক অবস্থা দূরীকরনে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ। তাই আজ আমরা বাংলাদেশের সেরা দশটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।
What is private bank?
যে আর্থিক ব্যাংক বা প্রতিষ্টান সমুহ মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য স্বল্পমে য়াদী ঋণ নিয়ে কারবার করে তাকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বলে। অন্য দিকে যেখানে সরকারের কোনো ক্ষমতা থাকে না, যাবতীয় কার্যক্রম ব্যক্তি মালিকানা অধিনে পরিচালিত হয়,তাকে প্রাইভেট বা বেসরকারি বলে। এটি একটি ব্যতিক্রম ধর্মী ব্যাংক।
প্রথম বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোনটি?
আজকের প্রতিষ্টিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সুনাম ও সাফল্য অর্জন করে যেটি আজ বেসরকারি ব্যাংকের জগেতে রাজ করছে সেটি হল পূবালী ব্যাংক। অন্যদিকে প্রথম বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হল AB bank( বর্তমান নাম)
বেসরকারি ব্যাংকের নিয়ম নীতিসমুহ………
প্রত্যেক ব্যাংক তাদের নিজস্ব নিয়ম –নীতির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ তাদের নিজস্ব নিয়ম-নীতি দ্বরা পরিচালিত করে থাকে। বাংলাদেশ বেসরকারি ব্যাংকের নিয়ম-নীতি সরকারি ব্যাংকের নিয়ম-নীতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আর্থিক দিক থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুবই শক্তিশালী। নিয়ম-নীতির দিক থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অটুট।
বাংলাদেশ বেসরকারি ব্যাংকের কাজ ও অসাধারণ কিছু তথ্য:
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ কাজের দিক থেকে খুবই সক্রিয়।বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো সাধারণ,অসহায় ও দারিদ্র লোকদেরকে বেশী ব্যাংক সেবা প্রধান করে থাকে । বেসরকারি বা প্রাইভেট ব্যাংক গুলো সঠিক আইন প্রনয়নের মাধ্যমে তাদের লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে। নিচে বেসরকারি ব্যাংকের অসাধারণ তথ্য সমুহ দেখুন।
- ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সেবা প্রধান।
- ক্ষুদ্র ও্র মাঝারি ব্যবসায়িদের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আনা।
- লেনদেনের সকল কার্যক্রমকে মূল কর্মকান্ড হিসেবে মূল্যায়ন।
- জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা।
যে কারণে বেসরকারি ব্যাংকের কাছে হেরে যাচেছ সরকারি ব্যাংক:
আজকের প্রতিযোগিতা পূর্ণ বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাথে হেরে যাচেছ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক সমুহ। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, একমাত্র সুশাসনের অভাবের ফলেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তুরনায় সরকারি ব্যাংক গুলো অনেক পিছিয়ে পড়ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে সরকারি ব্যাংকগুলো হেরে যাওয়ার বিশেষ ও প্রধান কাণর সমুহ নিচে বিস্তারিত দেখুন ।
- অনলাইন সেবার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকের তুলনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক বেশী সেবা প্রধান করছে্
- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তুলনায় সরকারি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি বহুগুণে বেড়ে চলছে।
অবনতির বিশেষ ও প্রধান কারণ:
খেলাপী ঋণ আদায়: খেলাপী ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তুরনায় সরকারি ব্যাংক গুলো অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
অনিয়ম ও দূরনীতি: বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় সরকারি ব্যাংক গুলোতে অনিয়ম ও দূরনীতি বেশী পরিমানে ঘটে থাকে।
মোবাইল ব্যাংকিং: মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে প্রাইভেট ব্যাংক গুলো যেভাবে সেবা প্রধান করেছে ,সরকারি ব্যাংক গুলো সেভাবে সেবা দিচ্ছে না।
অনলাইন ব্যাংকিং: বাংলাদশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো যেভাবে শতভাগ সেবা প্রধান করছে সরকারি ব্যাংক গুলো সেই সেবা দিতে অক্ষম।
দেশের সেরা বাংলাদেশ বেসরকারি ব্যাংকের তালিকা:
যে অসাধারণ বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ বাংলাদেশের আর্থিক অভাব ও ঘাটতি পূরণ করছে সেই বেসরকারি ব্যাংক সমুহের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:-
ক্রমিক নং | বেসরকারি ব্যাংকের নাম |
১। | বাংলাদেশ পূবালী ব্যাংক লিমিটেড |
২। | ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড |
৩। | এবি ব্যাংক লিমিটেড |
৪। | ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড |
৫। | ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড |
৬। | ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড |
৭। | প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড |
৮। | ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড |
৯। | ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড |
১০। | মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড |
১১। | সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড |
১২। | স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড |
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ যে পরিমান ভূমিকা পালন করছে তা চিন্তাই করা যায় না। পরিশেষে বলা যায়, আধুনিক অর্থনীতির আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনে যথেষ্ট অবদান রাখছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ।
All right information in Bangladesh পেতে Click here!
1 Comment