ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী সেখানে থাকছে মেট্রোরেলের সুবিধা। যে রাজধানীতে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। আর পৃথিবীর যানযট যুক্ত শহর গুলোর মধ্যে ঢাকা একটি শহর। যার কারণে কোটি লক্ষ মানুষদের দিনের পর দিন নানা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হচ্ছে।
মানুষের সেই ভোগান্তি দূর করার জন্য, ঢাকা কে যানযট মুক্ত করার জন্য বর্তমান সরকার ২০১২ সালে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের পরিকল্পনা করেন। যতিও একটা সময় মানুষের স্বপ্ন ছিল। তারপরে ২০১৬ সালে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। যা ঢাকা শহরের মানুষের এত দিনের স্বপ্ন ছিল তা পূরণ হতে চলেছে। কারণ যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যতটা দ্রুতগামী সেই দেশে ততটাই যানযট মুক্ত। তাই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুতগামী করার লক্ষ্য মেট্রোরেল প্রকল্প। মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকা শহরের চিত্র পালটে যাবে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের বিস্থারিত
বাংলাদেশের যানযট যুক্ত রাজধানী ঢাকা স্থাপন করা হচ্ছে মেট্রোরেলের সুবিধা। এই প্রকল্পের পর্যালোচনা করবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানযিট (MRT)।আর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানযিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট। কাজ চলমান কৃত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০.১০ কি.মি.। উত্তরা থেকে মতিঝিল দুই দিক থেকে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। স্টেশন থাকবে ১৬টি- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল। প্রথমত ২৪টি আধুনিকয়ান ইলেক্ট্রিসিটি ট্রেন চলাচল করবে। ট্রেন চলাচলের সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এই ট্রেনের মধ্য দিয়ে ১৬৯৬ জন যাত্রী চলাচল করতে পারবে। প্রত্যক স্টেশনে রেল ৪০ সেকেন্ড অন্তঃ সময় দাড়াবে। ট্রেন চলাচলের জন্য প্রতি ঘন্টায় ১৩.৪৭ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। তাই এর জন্য পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। মেট্রোরেলের জন্য বিদ্যুৎ দিবে জাতীয় গ্রিড। ২০১৯ সালের মধ্য ১১ কি.মি. পথ চালু করার কথা রয়েছে।
এই প্রকল্পের অর্থায়ন ব্যয় ব্যবস্থা কত?
ঢাকা মেট্রোরেলের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। যার ৭৫ শতাংশ ব্যয় খরচ দিবে জাপানের জাইকা ( জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি)। আর বাকি ২৫ শতাংশ ব্যয় দিবে বাংলাদেশ সরকার। এই প্রকল্পের ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা ঋণ দিবে জাইকা, ৫হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার।
মেট্রোরেলের লাইন সমূহ :
MRT6 লাইন | MRT5 লাইন | MRT4 লাইন |
উত্তরা উত্তর (ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ) | সোনারগাঁও | উত্তরা |
উত্তরা মধ্য (ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ) | নামহীন | বিমানবন্দর প্রবেশপথ |
উত্তরা দক্ষিণ (ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ) | নামহীন | বিমানবন্দর দক্ষিণ |
পল্লবী | বনশ্রী | খিলক্ষেত |
মিরপুর ১১ | নামহীন | নামহীন |
মিরপুর ১০ | নামহীন | নামহীন |
কাজিপাড়া | বাড্ডা | আর্মি স্টেডিয়াম |
শ্যাওড়াপাড়া | গুলশান | বনানী |
আগারগাও | বনানী | মহাখালী |
বিজয় সরণী | আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ | নামহীন |
ফার্মগেট | ইব্রাহীমপুর | তেজগাঁও |
কারওয়ান বাজার | নামহীন | নামহীন |
শাহবাগ | সেকশন ১০ | মগবাজার |
টিএসসি | চিড়িয়াখানা | খিলগাঁও |
প্রেস ক্লাব | মিরপুর | কমলাপুর |
মতিঝিল | আদাবর | নামহীন |
ধানমন্ডি | সায়দাবাদ | |
নামহীন | ||
সোনারগাঁও |
ঢাকায় মেট্রোরেলের সুবিধা কি কি?
মেট্রোরেলের সুবিধা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আসতে ৩৮ মিনিট সময় লাগবে। তার মানে ঢাকা শহরের মানুষদের চলাচল করার ক্ষেত্রে অনেক সময় বেচে যাবে।
প্রতি স্টেশনে থাকবে সুপরিশর ফ্ল্যাটপর্ম ও যাত্রীদের জন্য থাকবে আরমদায়ক বসার ব্যবস্থা এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।
প্রত্যেকটি ট্রেন হবে অত্যাধুনিক ও যাত্রীদের চলা ফেরা ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না।
৬০০০০ হাজার যাত্রী প্রতি ঘন্টায় চলাচল করতে পারবে।
ভাড়া আদায় করা হবে ডিজিটাল কার্ড দিয়ে মেশিনের মাধ্যমে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পর পর ট্রেন এসে দাড়াবে ওঠা নামার জন্য।
শহরের মানুষদের যানযট ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
যানযট মুক্ত ঢাকা শহর হবে।
শহরের ভারসাম্য টিক থাকবে।
শহরে পরিবেশ ভাল থাকবে।
দেশের উন্নয়নের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
মেট্রোরেল চলবে খুটির উপর তৈরি ফ্লাইওভার ব্রিজ দিয়ে যার ফলে বাস, ট্রাক, কার, মোটরসাইকেল চলা চলের কোন অসুবিধা হবে না। আর সেই উড়ালসেতু করা হবে মূল রাস্তার মাঝ বড়াবড়।