স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায় স্বাস্থ্য মানুষের মূলবান সম্পদ। একজন মানুষকে সুন্দর ও সুদর্শন লাগে তার স্বাস্থ্য ভাল থাকলে। যদি তার স্বাস্থ্য ভাল না থাকে তাহলে থাকে দেখতে ভাল লাগেনা। তাদেরকে দেখতে খারাপ লাগে। স্বাস্থ্য সৃষ্টিকর্তার দান হলেও কিছু মানুষ কিছু খারাপ কাজ বা কিছু খারাপ নেশার জন্য তাদের স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে থাকে। পরে তারা তাদের স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য অনেক কিছু কর থাকে। স্বাস্থ্য ভাল থাকলে মন ও সতেজ থাকে। কোন কাজ করতে ভাল লাগে। আর মন ভাল তাকলে পৃথিবীর সব কিছুই ভাল লাগে। সুস্থ, সুন্দর ও ফিট শরীর সবাই কাম্যনা করে থাকে। পৃথিবীর সমুস্ত জায়গাই রোগের চড়া চড়ি থাকলে ও কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলেই সমুস্ত রোগ থেকে বাচা সম্ভব এবং স্বাস্থ্য ভাল করাও সম্ভব। স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায় যাদের স্বাস্থ্য নই তাদের জন্য আমাদের এই আজকের টিপস আশা কির ভাল লাগবে স্বাস্থ্য ভাল করার উপায়।
স্বাস্থ্য কী? স্বাস্থ্য বলতে সাধারণত কি বুঝি? স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায়?
“স্বাস্থ্য বলতে আমরা যা বুঝি তাহল সম্পূর্ণ সামাজিক কল্যাণবোধ, মানসিক ও শারীরিক অবস্থাকে বুঝায়। শুধুমাত্র রোগ বা দূর্বলতার অনুপস্থিতিকেই স্বাস্থ্য বলা হয় না।”
স্বাস্থ্য আমাদের কেন দরকার? স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায়?
স্বাস্থ্য আমাদের কেন দরকার তার কারণ হল স্বাস্থ্য ছাড়া একজন মানুষকে সুন্দর ও সুদর্শন দেখায় না। স্বাস্থ্য না থাকলে মানুষের কাছে মূল্য পাওয়া যায় না। কোন ভারি কাজ করার ক্ষেএে আমাদের স্বাস্থ্যর প্রয়োজন হয় যদি আমাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে তাহলে আমরা ভারি কাজ করতে পারব।
স্বাস্থ্য দিয়ে আমাদের কি হবে?
স্বাস্থ্য যদি না থাকে তাহলে আমাদের কোন কাজ করতে ভাল লাগেনা। স্বাস্থ্য ভাল থাকলে আমাদের মন ভাল থাকে। আর মন ভাল থাকলে কাজ করার মাধ্যমে আনন্দ পাওয়া যায়। সমুস্ত রোগ বালাই থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায় দুটি জিনিস খুবই দরকার সেই দুটি জিনিস হল:
১.শারীরিক কি? শারীরিক বলতে বুঝায় যে সমুস্ত শরীর। নিজেদেরকে আগে গনগন রোগের হাত থেকে আগে নিজেকে বাচাঁতে হবে যাতে রোগে সহজে আক্রান্ত করতে না পারে। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটু দেখে শুনে ভাল ভাবে চলতে হবে। যাতে রোগে বারবার আক্রান্ত করতে না পারে। যদি গনগন রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আমাদের শরীরকে সহজে ভাল করা যাবে না।
২. মানসিক বলতে বুঝায় যে কোন বিষয় নিয়ে অযথা চিন্তাকেই বুঝায়। কোন বিষয়কে নিয়ে বেশি চিন্তা করা যাবেনা। মাথার উপর বেশি চাপ বা পেসার নেওয়া যাবেনা। কোন কাজকে সহজ ভাবে করতে হবে। মানসিক চাপ থাকলে শরীর ভাল করা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য ভাল করার সহজ উপায় :
১. নিয়মিত খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আমিষ জাতীয় খাবার এর সংখ্যা বাড়িয়ে দিন।
২. সব সময় পেট ভড়া থাকতে হবে। যে কোনো খারার খেয়ে আবার কোন খারাপ বা নষ্ট খাবার খাবেন না। তাহলে অসুস্থ হয়ে যাবেন। এবং পুষ্টিকর খাদ্য বেশি খাবেন।
৩. সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বাদাম ও কিসমিসের খাবেন। বাদাম ও কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যান্সিয়াম পাওয়া যায়। ঘুমানোর আগে কিসমিস গুলোকে ভিজিয়ে রাখবেন। তাহলে কিসমিস ফুলে উঠবে তার পর খেয়ে খান।
৪. প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। শাক-সবজি ও ফলমূলর এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন তাকে।
৫. বারবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন বারবার খাবার খেলে পেট ভরা থাকবে তার ফলে আমাদের পেট ভরা তাকবে পেট ভরা তাকলে সহজে স্বাস্থ্য বাড়বে।
৬. তেল ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে এটি ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
৭. নিয়মিত জিম অভ্যাস গড়ে তুলুন জিম অভ্যাস গড়ে তুলবেন তার কারণ হল জিম করলে প্রচুর পরিমাণে খুদা লাগবে তার ফলে আপনি প্রচুর পরিমাণে খাবার খাওয়া যাবে।
৮. ঠিক মত ও সঠিক সময়ে ঘুমতে হবে। ঘুমালে মানুষের শরীরের যে ক্যান্সিয়াম ও পুষ্টি জমা হয় গুলোকে বাঁচিয়ে রাখে সে গুলো খরচ হয় না। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর দরকার।
৯. খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কিছু বিশেষ খাবার। এই খাবার আপনাকে আর বলিয়ান করে তুলবে। কিছু খাবারের নাম যেমন: আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, গরু-খাসির মাংস ও আপনি সিমের বিচি খেতে পারেন এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে আমিষ পাওয়া যায়। যদি আপনার উচ্চ রক্ত চাপ না থাকে।
১০. মেটাবলিজম হার কমাতে হবে মেটাবলিজম হার বলতে বুঝায় আপনি খাবার খাওয়া পর মিনিমাম এক-ঘন্টা বিশ্রাম করতে হবে। কোন কাজ করা যাবে না। তাকেই বুঝায়।
এটি পরীক্ষত।
তাই বলা যায়, আমরা যদি উপরুক্ত আলোচনা গুলো সঠিক মত আমরা আমাদের শরীর ভাল করা বেশি দিন লাগবেনা। মাত্র কয়েক মাসের ভেতরে মোটা হওয়া কোন বিষয় না। আমাদের একটু সময় মত খাবার দাবার খেতে হবে এবং পযাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে। বেশি করে খাবার দাবার খেতে হবে। এবং সবসময় পেট ভরে খেতে হবে তাহলেই চলবে।
যদি আপনারদের ভাল লাগে তাহলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেনা।