শীতের খাদ্য তালিকা স্বাস্থ্য মানুষের মূল সম্পদ। সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষের ভাল স্বাস্থ্যর প্রয়োজন। তাই আমাদের দেশ ঋতু পরিবর্তনের দেশ। তাই শীতকালীন সময়ে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়। শীতের শুরু থেকেই অনেক মানুষ ঠান্ডা ,জ্বর ইত্যাদি রোগে ভোগে থাকবে। অথচ একটু সর্তক ভাবে খাবার নিয়মিত গ্রহন করলে আর ব্যয়াম করলে রোগ থেকে আরোগ্য থাকা সম্ভব। তাই আমাদের উচিত সেই সময়ে খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করা। শীতের খাদ্য তালিকা নিয়ে আলোচনা করব।
# শীতের খাদ্য তালিকা শীতে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত আমাদের ?
# কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার গ্রহনের মাধ্যমে শীতে আমাদের সুস্থ্য থাকা সম্ভব।
১. শাক-সবজি:
শীতে আমাদের দেশে নানা ধরনের শাক সবজি পাওয়া যায়। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমানে শাক সবজি রাখা। শীতে যে সবজি পাওয়া যায় তাতে পুষ্টি গুনে ভরপুর। তা আমাদের শরীরে সুরুক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতে যে সবজি পাওয়া যায়- টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম ইত্যাদি।
.টমেটো মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। টমটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, ফ্লেবোনয়েড, থিয়ামিন, ফোলেটও ক্যালসিয়াম । যা আমাদের শরীরে দৃষ্টি শক্তি ও উচ্চ রক্ত চাপ থেকে নিয়ন্ত্রন রাখে । আর ত্বকের সৌন্দর্য এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
.গাজর একটি আঁশ যুক্ত ও পুষ্টি গুনে ভরপুর সবজি। গবেষনায় দেখা গেছে গাজর কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার ও ফুসফুস ক্যানসারে রোধ করতে সাহায্য করে। গাজর খাওয়ার ফলে লিউটিন কোলস্টেরেল কমে যায় এবং দাঁত ক্ষয় রোগে সাহায্য করে।
.ফুলকপি হল শীতের জনপ্রিয় সবজি। ফুলকপি রয়ছে ভিটামিন এ, সি,ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅ্যারিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যাল ইত্যাদি রয়েছে।যা উচ্চ রক্ত চাপ ও খাবার হজমে সাহায্য করে।
.বাধাকপি অনেক রকমের পুষ্টি রয়েছে। বাধাকপিতে রয়েছে কিলোক্যালরী, শর্করা, খাদ্য আঁশ, চর্বি, আমিষ, থায়ামিন, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। যা শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহয়তা করে। হাড় মজবুত ও খাদ্য হজমে সাহায্য করে ।
.শিমে রয়েছে খাদ্যশক্তি, প্রোটিন, শর্করা ও ভিটামিন ডি ইত্যাদি। শিমের অ্যাশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক সুরুক্ষা রাখে।
২.মধু:
শীতে কেন মধু খাবেন?
শীতকালিন সময়ে মানুষের অসুস্ততা বেশি দেখা দেয়। সর্দি কাশি , গলা কুসকুস , গলা ব্যথা ইত্যাদি অসুখ দেখা দেয়। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, অ্যামিনো অ্যাসিড ও খনিজ পদার্থ।তাই মধু খেলে সর্দি কাশি, গলা ব্যথা ও বিভিন্ন অসুখে উপকার পাওয়া যায়। মধু খেলে ত্বকের মধ্য তাকা মৃত কোষ গুলো সতেজ রাখে । প্রতিদিন মধু খেলে শরীরে ক্লান্তি দূর হয় ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে মধু সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খাবেন দেখবেন ঘুম ভাল হবে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মধু অনেক উপকারে আসে।
৩. রসুন:
রসুন আমাদের দেহে নানা ধরনের উপকারে আসে।মধু খেলে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে হৃদপিন্ডের সুস্থতায় তার কোর ঝুরি নেই। রসুন কোলস্টরল ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। শীতের সময় যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি বেশি দেখা দেয়। এই সব রোগের জন্য রসুন খুব ভাল উপকারে আসে। রসুন খেলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যাদের রসুন খেলে এলার্জি হওয়ার সম্ভবনা আছে তারা কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪.মাশরুম:
মাশরুম শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সাথে লড়তে সাহায্য করে। তাই শীতের খাবার তালিকায় মাশরুম অবশ্যই রাখবেন। মাশরুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি আছে।শিশুদের হাড় গঠনে খুবই উপকারে আসে। মাশরুম ত্বকের নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত নিয়মাবলি পাশাপাশি শারীরিক ব্যয়াম ও উষ্ণ কাপড় পরিধান করতে হব
এবং নিয়মিত আমাদের আপডেট টিপস পেতে সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ।