শক্তির কি আসক্তি মাএই যে ক্ষতিকর । আর স্মার্টফোনে আসক্তি যে মারাত্মক ক্ষতির কারণ তা আমরা জানি না, তা এক গবেষনায় চিকিৎসকেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন । অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার এবং স্মার্টফোন থেকে নির্গত আলো দীর্ঘদিন চোখের সমস্যা তৈরি করে রাখে পারে । এবং সহজে এটি পরে ছাড়ে না ।
গত কয়েক বছরে আমাদের জীবনে মধ্যে বেড়েছে নীল আলোর দাপট । স্মার্টফোন, কিংবা ল্যাপটপের পর্দায় দিনে-রাতে আমাদের চোখগুলো আটকে থাকছে । আর এই থেকে আসা নীল আলো আমাদের চোখসহ দেহের ওপর বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পেলছে । তা আমরা জানি না,
নীল আলো কি…..?
এটি হলো এক ধরনের শক্তিশালী শর্টওয়েভ “স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্য” লাইট যা দিনের বেলা সূর্য থকে পাওয়া যায় । কিন্তু স্মর্টফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, টিভি সবই কিছুতেকে একই আলোর ব্যবহার হয় না, এমনকি ফ্লুরোসেন্ট এবং এনার্জি সেভিং এলইডি বাল্ব হতেও নীল আলো বেড় হয় । শক্তির কি?
শর্ট ওয়েভ লাইট বিশেষ করে সবচেয়ে ছোট তরঙ্গের নীল আলো যখন আমাদের চোখের রেটিনাতে পড়ে থাকে তখন আমাদের মস্তিষ্কক বুঝে নিতে পারে যে এখন রাত চলছে না দিন চলছে এটি খুব সহজে বুঝতে পারে। আর এই আলো জন্য আমাদের রাতের ভাল ঘুম হয় না । কারণ হল আমাদের ঘুমের হরমোল গুলোকে ঘুমাতে দেয় না ।
দিনের বেলায় সূর্য থেকে আসে নীল আলো এই অলো নীল এটি আমাদের কোনো ক্ষতি করে না, বরং এটা স্বাস্থ্যকর এবং এটিতে হতে ভিটামিন “ডি” পাওয়া যায় ।
বিশেজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোন ব্যবহারের কারণে ক্ষতিকর দিক নিয়ে “টাইমস অব ইন্ডিয়াও” এক প্রতিবেদনে বলেছেন, অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কারণে শুক্রাণু গুলোকে কমিয়ে দিতে পারে । তাদের ছাড়া কিছুদিন আগে অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, অতিরিক্ত সময় ধরে এই আলোগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকলে আমাদের মাথার ভিতর যে সব সেল্ রয়েছে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং ছিড়ে যায় । ফলে ক্যান্সারের মত মারাক্রক রোগে আক্রান্ত হতে পারে । যেমন আরো কিছু অতিরিক্ত সময় তাকিয়ে তাকলে, চোখে ঝাপসা দেখা যায় , চোখ দিয়ে পানি পরে, চোখ ও মাথা ব্যাথা করা ইত্যাদি ।
শক্তির কি ? আলোর শক্তির ব্যবহার ও অজানা রহস্যের ফলে যেসব সমস্যা আমাদের হয়:
এসব যন্ত্র ব্যবহারের আগে আমাদের শরীর শুধু দিনের বেলাতেই নীল আলোর সংস্পর্শে আসতো । কিন্তু সন্ধ্যা পরপরেই এই আলোর অনুপস্থিতিতে শরীরে মেলাটোনিন নামক ঘুম উদ্দীপক হরমোনের পরিমাণ বাড়তে তাকে, ফলে রাতে আমাদের ঘুমও ভালো হত । কিন্তু এখন এই নীলর আলোর কারণে রাতে ভাল ঘুম হয় না ।
বিশেষ করে শিশুদের অনেক ক্ষতি করে তাকে তার কারণ হল একটি শিশু মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদি পেলে তারা সহজে দেখা বন্ধ করতে চায় না । কারণ হল তাদের মাথার ভেতরে মজার একটি সংকেত পাঠায় যার কারণে তারা দেখতেই তাকে । তার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
শিশুরা কোনো ছবি, কারটুন, অনান্যা কিছু দেখার সময় আপওিকর কোন দৃশ্য সামনে চলে আসতে পারে যা শিশুদের মনকে সে ব্যাপারে কৌতুহলী করে তুলতে পারে যা অরশ্যই কাম্য নয়ে এবং খারাপ দৃশ চলে আসতে পারে যা শিশুদেরকে মারাক্তক ভাবে আঘাত অনতে পারে ।
শিশুদের টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ বেশিক্ষন চলতে থাকলে তাদের মাথ্যা ব্যাথা হতে পারে, আবার কোন কোন ক্ষেএে চোখের স্বাভাবিক অশ্রু নিঃসরণ কমে গিয়ে তাদের চোখ শুস্ক হয়ে যেতে পারে, যা একজন বাবা-মায়র জন্য কাম নয় । বড়দের এত বেশি ক্ষতি নাও হতে পারে, কিন্তু তাদের ক্ষতি হয় ।
এর থেকে বাচাঁর উপায় হল:
কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করতে হলে অবশ্যই “স্ক্রিন ফ্রেন্ডলি চশমা বা গ্লাস” ব্যবহার করুন । চোখে পাওয়ার না থাকলেও এই চশমা সহজে বানাতে পাওয়া যায় এবং পাওয়ার সহ বানানো যায় । এর ফলে চক্ষু বিশেষজ্ঞর অব্যশই পরামর্শ নিতে হবে । টিভি বা কম্পিউটারের আলো দেখে সেট করে নিন এবং পরে গ্লাস বানিয়ে নিন । যথেষ্ট আলো আছে এমন জায়গায় কম্পউটার বা ল্যাপটপ ইত্যাদি রাখুন তাহলে চোখের জন্য মোটামুটি ভাল । অন্ধকার রেখে টিভি বা ল্যাপটপ দেখবে না তা চোখের জন্য ভাল নয় খুবই খারাপ ।
চোখকে ভাল রাখতে ৩০ মিনিট পরপর চোখের ভিতর পানি দিন, কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুনএবং চোখের উপর দুই হাতের আঙ্গুল নরম ভাবে রেখে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুন তাহলেও চলবে ।
টিভি, ল্যাপটপ, ও মোবাইলের আলো থেকে চোখকে বাচাঁতে চাইলে চোখ পিটপিট করে চান বারবার তাহলেও চলবে । মোবাইল স্ক্রিনের ব্রাইটনেস একেবারে কমিয়ে ফলবেন না যেন,কারণ হল অতিরিক্ত ব্রাইটনেস যেমন চোখের জন্য তেমন ভাল নয় তেমনি কম ব্রাইটনেস চোখের জন্য তেমন ভালো নয় ।
আমরা চোখকে সুরক্ষা রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমরা চশমা বানাতে পারি যাতে চোখের সম্যাসা না হয় ।
মোবাইল স্ক্রিনকে পরিষ্কার রাখতে হবে এর উপর ময়লা বসে থাকা কারণে চোখে যেতে পারে, মোবাইল দেখার সময় চোখের উপর মারাক্মক চাপ পরে । ফলে রেটিনার ক্ষতি হয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না । এ কারণেই মোবাইল এর স্ক্রিন পরিষ্কার রাখতে হয় ।
তাই বলা যায়, উপরোক্ত চোখ বাচানোর উপায়গুলো যদি ফলো করতে পারি তাহলে আমাদের চোখকে বাচাঁনো সম্ভব । যদি টিপসটি ভালো লাগে তাহলে আমাদেরকে লাইক ও কমেন্টস করতে ভুলবেন না । এবং আমাদেরকে এস.এম.মেস করোন ।