ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় ব্রণ একটি নিয়মিত সমস্যা। এটি দূর করার জন্য মানুষ নানান ধরণের ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তা অনেক সময় ভাল হয না।ব্রণ একটি নিয়মিত সমস্যা। এটি দূর করার জন্য মানুষ নানান ধরণের ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তা অনেক সময় ভাল হয না। এর কারণ হল তারা ব্রণ দূর করার সঠিক উপায় সম্পর্কে অবগত নয় বা জানে না। আজ আমরা ব্রণ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিচে আমাদের পোষ্টটি ভাল ভাবে পড়ুন এবং আপনার ব্রণ দূর করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানুন ও আপনার ব্রণকে চিরতরে দূর করে নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলোন। ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
ব্রণ কি ?এবং ব্রণ কেন হয়?ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়?
ব্রণ হচ্ছে আমাদের শরীরে ত্বকের ফলিকলের এক প্রকার ক্রনিক রোগ। যা মুখে, গলায়, নাকে, বুকে হয়ে থাকে। এটিবেশির ভাগ দেখা যায় যে, বয়ঃন্ধিকালে হয়ে থাকে। বয়ঃন্ধিকালে হরমোন টেস্ট্রোরেন আর প্রোজেস্ট্রোরেনের প্রভাবে ত্বকের সিবেসিয়াস গ্রন্থি অধিক হারে তেল নিঃসরণ শুরু করে। কোন কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভিতর থেকে জমে ফোলে উঠে ও পরে ব্রণ আকারে দেখা যায়। আর ব্রণ সাধারণত যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের একটু বেশি হয়।
ব্রণ এর সমস্যা সমাধানের উপায়
বিশ্বে ব্রণের সমস্যা একটি বড় সমস্যা। বিশ্বের অনেক মানুষই এই ব্রণের সমস্যায় ভোগছেন। ব্রণ সাধারণত মানুষের গাল, কপালে, নাকে, কাধে, গলায় হয়ে থাকে। এই ব্রণের সমস্যাটা সাধারণত মানুষের হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই বেশি হয়ে থাকে। আজ কাল ব্রণের সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই অনেক ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তাতে দেখা যায় যে অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিকৃয়ায় ভোগে। কিন্তু অসলেই অনেকে জানে না যে আমাদের হাতের কাছেই অনেক ঘরোয়া প্রাকৃতিক ফরমোলা আছে। যার মাধ্যমে আমরা কোন পার্শ্বপ্রতিকৃয়া ছাড়াই আমাদের ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারি। চলুন আমরা দেখি কিভাবে এই ব্রণের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
১। পাকা পেঁপে আপনার এই ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারে। আপনি যদি শশা, পেঁপে,টমেটো রস সম পরিমান মিশিয়ে আপনার ব্রণে লাগান আর তার পর শুকিয়ে গেলে আমার সেই স্থানে আবার ব্যবহার করেনপরে আবার সুকিয়ে গেলে তার পর ভাল ভাবে ধুয়ে পেললে আপনার ব্রণের সমস্যা সমাধান হবে।এইভাবে আপনি ১০-১৫ দিন ব্যবহার করুন আপনি আশা করি কোন ফল অবশ্যই পাবেন।
২। টুথপেস্ট ব্যবহার করে আপনার মুথের কালো মেছতা বা ব্রণ দূর করতে পারেন। রাতে আপনি ব্রণের স্থানে ভালভাবে মালিশ করে সকালে পরিস্কার পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলুন আর একটি ছমক দেখুন।
৩। লেবুর রস এবং গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রণের উপর ব্যবহার করুন। খুব সহজেই ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পান।
৪। মধুর গুনাগুন অনেক আমরা সকলেই জানি। মধু অনেক রোগের কাজ করে থাকে। মধু ব্যবহার করে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারেন। আপনার ব্রণের উপর একটু মধু লাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধুয়ে পেলুন। দেখবেন আপনার ব্রণের সমস্যা সমধান হবে ইনশাল্লা।
ব্রণ দূর করার ক্রিম
ব্রণ দূর করার জন্য বাজারে অনেক ধরণের ক্রিম রয়েছে। আসলেই কি তা সবেই ভাল নাকি। না আসলেই সব ক্রিমেই ভাল না। এবং এই সব ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই যেকোন কাজ করার আগে আপনাকে অবশই তা সম্পর্কে জানতে হবে। তার পর ব্যবহার করুন আপনি। এতে আপনার উপকার হবে।
আমরা আপনাদের কে কিছু ভালমানের ক্রিম ব্যবহার করতে বলব যা ব্যবহার করলে আপনার উপকার হবে। নিচে কয়েকটি ক্রিমের নাম দেওয়া হল
১। গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট
গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট আপনার ত্বকের দাগের ছোপকে হালকা করে এছাড়া এটি সানট্যান থেকে ও ত্বককে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে ৫- ৬ মিনিট ধরে এই ক্রিম আপনার ত্বকে ম্যাসেজ করুন। এর ফলে আপনার ত্বকের ছোট ছোট ব্রণ আপনার ভাল হয়ে যাবে। এটি আপনাকে ২-৩ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে। গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ব্যবহার করলে আপনার ত্বক দুই গুন বেশি উজ্জল হয়ে উঠবে। এই ক্রিমটি আপনি বাজারে যেকোন ফার্মেসিতেই পাবেন। গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট এর মূল্য ১৫০ টাকা পেয়ে যাবেন।
২। লোটাস হারবাল হোয়াইট গ্লো
ব্রণ এর জন্য লোটাস হারবাল ক্রিমটি খুবই ভাল। এই ক্রিম ত্বকের জন্য অনেক কার্যকারী । আপনার ত্বকের ডার্কনেস ও ডালনেস দূর করার জন্য এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারেনা। লোটাস হারবাল হোয়াইট গ্লো আপনার পিগমেটেশন দূর করে স্কিনটোন হালকা করে। আমাদের মুখের দাগ দূর করে আপনাকে সেই রকম একটা উজ্জল চেহেরা উপহার দিবে এই ক্রিম। বিশ্বাস না হলে একবার পরিক্ষা করে দেখে নিেত পারেন। এই ক্রিমটি আপনি বাজারে মাত্র ১৫৫ টাকা দিয়েই পাবেন।
৩। পন্ডস হোয়াইট বিউটি অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম
পন্ডস হোয়াইট বিউটি অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিমটি বহু বছর ধরে চলে আসা একটি অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকারী ক্রিম। আমাদের দেশে শতকরা ৩৫-৪০% লোখেই এই পন্ডস হোয়াইট বিউটি অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে।তাই আপনি যদি এখনো এই ব্যন্ড ব্যবহার না করেন তাহলে এখনিই আপনি এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি আপনি অনেক উপকার পাবেন। এই ক্রিম ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে। এর সাথে সাথে এটি ত্বককে ভেতর থেকে নমনীয় ও উজ্জল করে তোলে। এই ক্রিমের পার্থক আপনি ২ সপ্তাহের মধ্যেই আপনি বুঝতে পারবেন।