Tore

দর্শনীয় স্থান: বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান আমরা সবাই ভ্রমন করতে ভালবাসি। ভ্রমনের মাধ্যমে আমরা যেমন আনন্দ পায় তেমনি আমাদের শরীর ও মনকে সতেজ করে তুলে। আপনি কি ভ্রমন করতে চাচ্ছেন? কিন্ত কোথায় যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা যদি কোন স্থান সর্ম্পকে না জানি তাহলে আমাদের সেই স্থানে যাওয়ার জন্য আগ্রহ থাকে না । আপনাদের কথা বিভেচনা করে কতগুলো দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে আলোচনা করব।

আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটা পড়েন তাহলে আপনি তাহলে আপনি বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থানের ভাল দিক এবং মন্দ দিক সর্ম্পকে জানতে পারবেন।

তাহলে চলেন দেখে আসি বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

০১। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। যা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে এবং কক্সবাজার জেলা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে একটি ১৭ বর্গ কিলোমিটের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে স্থানী ভাষায় নারিকেল জিন্জিরা বলে ডাকে। অপূর্ব সৌন্দর্য্যমন্ডিত প্রাকৃতিক এই দ্বীপটি যার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষকে তার সৌন্দর্য্য দ্বারা বিমোহিত করে। তাই বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসাবে স্থান হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তগত টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন এই সেন্টমার্টিন। প্রতি বছর সেই স্থানে অসংখ্য পর্যটক আসে। সেই দ্বীপে রয়েছে সারি সারি নারিকেল গাছ যা মানুষকে আকর্ষন করে কাছে টেনে নেয়।

আয়তন: এর আয়তন ১৯৭৭ একর। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

০২। কক্সবাজার বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের বৃহত্তম সমূদ্র সৈকত হল কক্সবাজার। নীল জলরাশি আর শো শো শব্দে সব সময় মোকরিত থাকে কক্সবাজার। অপরুপ সুন্দর এই পর্যটন কেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম  সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজার। সব সময় কক্সবাজারে পর্যটনের আনাগোনা থাকে। এমন কি বিদেশ হতেও মানুষ আসে ভ্রমন করতে কক্সবাজারে।

কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অন্তর্গত। কক্সবাজার ১৫৫ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে বিস্তত।

কক্সবাজার: কক্সবাজার ভ্রমন করলে আপনি এর পাশাপাশি আরো কিছু স্থান ভ্রমন করতে পারবেন যেমন হিমছড়ি, লাবণী পয়েন্ট, ইনানী বিচ, সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা ইত্যাদি।

০৩। সাজেকভ্যালি বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

সাজেকভ্যালি বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হিসেবে খ্যাত এই সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালি ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উপরে অবস্থিত।

সাজেক ভ্যালিতে উপভোগ করবেন: আপনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাজেক ভ্যালিতে তিনটি রুপ দর্শন করতে পারবেন আপনি কখনো দেখবেন খুবই গরম, আবার হটাৎ করেই বৃষ্টি আবার  কখনো দেখবেন প্রকৃতির চারিদিক ঢেকে গেছে মেঘের চাদরে!

সাজেক ভ্যালি দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে যেমন: রুইলুই পাড়া, কমলক ঝর্ণা, কংলাক পাড়া, হাজাছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার।

০৪। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। কুয়াকাটা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর বিশেষত্ব হচ্ছেঃ আপনি একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।

দূরত্ব: ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সড়কপথে দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। আর বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে আরও যে দর্শনীয় স্থান রয়েছেঃ শুঁটকি পল্লী, ক্রাব আইল্যান্ড, গঙ্গামতির জঙ্গল, ফাতরার বন, কুয়াকাটা কুয়া, সীমা বৌদ্ধ মন্দি, কেরানিপাড়া।

০৫। জাফলং বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

জাফলং পর্যটকদের জন্য একটি বিখ্যাত জায়গা। জাফলং ভারতের মেঘালয় সীমান্তে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। জাফলং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের গোয়াইনহাট উপজেলায় অবস্থিত।

দূরত্ব: ঢাকা থেকে ২৯৫ কিলোমিটার আর সিলেট শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে জাফলং অবস্থিত।

আশেপাশে আরও যে দর্শনীয় স্থান রয়েছেঃ ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝলন্ত সেতু, পাহাড়ি ঝর্না, পাথর এবং ঝর্নার সচ্চ পানি

জাফলং এ দেখার মত আরও অনেক কিছু আছে যেমন: সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা, জৈন্তাপুর, তামাবিল, লালাখাল ইত্যাদি।

০৬। সীতাকুন্ড বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলার নাম সীতাকুন্ড। ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড এর দূরত্ব প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার।

সীতাকুণ্ড উপজেলার আয়তন প্রায় ২৭৩.৪৭ বর্গ কিলোমিটার।

সীতাকুণ্ড উপজেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ হল, ঝরঝরি ঝর্ণা, কমলদহ ঝর্ণা, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কুমিরা ঘাট।

০৭। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি এবং ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত এই মহাস্থানগড়।

দূরত্ব: ঢাকা থেকে মহাস্থানগড় এর দূরত্ব প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। আপনি জানেন কি? মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল!

অবস্থিত: বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় এই ৪০০০ বছর পুরাতন স্থাপনা মহাস্থানগড় অবস্থিত।

০৮। খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি পার্বত্য জেলার নাম খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এর দূরত্ব প্রায় ২৮৭ কিলোমিটার এবং চট্রগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি এর দূরত্ব প্রায় ১০.৫ কিলোমিটার।

 খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো হল,
  কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ,
 আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র,
 আলুটিলা গুহা,
 রিছাং ঝর্ণা,
 জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ),
  মং রাজবাড়ি,
 গুইমারা,
 পুরাতন চা বাগান,
  দেবতার পুকুর,
  সিন্ধুকছড়ি পুকুর,
 বৌদ্ধ মন্দির,
 রামগড় জঙ্গল,
 রামগড়,
 পাহাড় ও টিলা,
 লক্ষ্মীছড়ি জলপ্রপাত,
  স্বার্থক,
 শান্তিপুর অরণ্য কুঠির,
  বিডিআর স্মৃতিসৌধ,
 রামগড়,
 হাতিমাথা পাহাড়:
 পাহাড়িরা একে এ্যাডোশিরা মোন বলে। এ্যাডো শব্দের মানে হাতি আর শিরা মানে মাথা।,
 পানছড়ি রাবার,
 ড্যাম,
 খাগড়াছড়ি গেইট,
 তৈদুছড়া ঝর্ণা,
 দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রীজ,
 মায়াবিনী লেক,
 ভাইবোনছড়া,
 মাটিরাঙ্গা জলপাহাড়,
 শতবর্ষী বটগাছ,
 মাটিরাঙ্গা।
 খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো হল,
  কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ,
 আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র,
 আলুটিলা গুহা,
 রিছাং ঝর্ণা,
 জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ),
  মং রাজবাড়ি,
 গুইমারা,
 পুরাতন চা বাগান,
  দেবতার পুকুর,
  সিন্ধুকছড়ি পুকুর,
 বৌদ্ধ মন্দির,
 রামগড় জঙ্গল,
 রামগড়,
 পাহাড় ও টিলা,
 লক্ষ্মীছড়ি জলপ্রপাত,
  স্বার্থক,
 শান্তিপুর অরণ্য কুঠির,

০৯।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক

বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন মাওনা ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক অবস্থিত। ঢাকা থেকে এই সাফারি পার্ক এর দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিলোমিটার।

পুরো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি ৫ টি অংশে বিভক্ত।

 ১.বঙ্গবন্ধু স্কয়ার,

২.সাফারি কিংডম,

৩.কোর সাফারি পার্ক,

৪.বায়োডাইভার্সিটি পার্ক,

৫.এক্সটেনসিভ এশিয়ান সাফারি পার্ক নামক এই ৫ টি অংশে বিভক্ত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ৩৬৯০ একর জমির বিস্তৃত।

এখানে রয়েছে চিত্রা হরিণ, জলহস্তী, হনুমান, ভল্লুক, গয়াল, বাঘ, সিংহ, হাতি, সাম্বার, মায়া হরিণ, বানর, কুমির ও বিচিত্র পাখী ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান

১০। নাটোর রাজবাড়ী

বাংলাদেশের নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত নাটোর রাজবাড়ী যা নাটোর রাজবংশের একটি স্মৃতিচিহ্ন।

ঢাকা থেকে নাটোর রাজবাড়ী এর দূরত্ব প্রায় ২০২ কিলোমিটার।

Newsletter
Become a Trendsetter

Sign up for Davenport’s Daily Digest and get the best of Davenport, tailored for you.

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *