ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন: ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
হ্যালো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা ইসলামি ব্যাংক পাসোর্নাল লোন কিভাবে নিবেন। আমরা আজ সেই বিষয়ে A To Z আলোচনা করব । আজকের আর্টিকেলটা আপনি পড়লে খুব সহজেই আপনি ইসলামি ব্যাংক থেকে পাসোর্নাল লোন নিতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংক লোন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। কেনো না বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। বাংলাদেশ মুসলিম নাগরিকরা শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকের গ্রাহক হওয়াই স্বাভাবিক। ইসালামী ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে তুলনা মূলক সুদের নিয়মকানুন মেনে। কারণ তাদের মূল স্লোগান হলো “আল্লাহ ব্যবসাকে করেছেন হালাল ও সুদ কে হারাম।” তাই আমাদের আজকের আলোচনা ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি। আজকের পোষ্টে আলোচনার বিষয় ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি আলোচনা করব
ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন: ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
মানুষ আরও অনুসন্ধান করে থাকে-
১.ইসলামী ব্যাংক সিস্টেম,
২. ইসলামী ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেট,
৩. ইসলামী ব্যাংক ঋণ,
৪. আল আরাফাহ,
৫. এস এম ই, উদ্যোক্তা,
৬. কৃষি ঋণ
৭. ক্ষুদ্র ঋণ,
৮. খামার ঋণ
৯. গাড়ি ঋণ
১০. সরকারি চাকরিজীবীদের,
১১. ছাত্র ঋণ
১২. পার্সোনাল ঋণ
১৩. প্রবাসী ঋণ
১৪. হোম ঋণ
কৃষি, সেলারি, হাউজ, ফাস্ট সিকিউরিটি, ব্যবসায়/ ব্যাবসা, বাইক, বাড়ি, ব্যক্তিগত, সিসি ইত্যাদি পর্যায়ে কিভাবে লোন দেয় ইসলামী ব্যাংক এবং তার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে। একই পোষ্টে আমরা আপনাদেরকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরার শ্রেষ্ঠা করবো।
ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন: ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
ইসলামি ব্যাংক পাসোর্নাল লোন কি?
প্রথমেই বলে নেই ইসলামি ব্যাংক পাসোর্নাল লোন নামে কোন রকমের লোন নেই। তবে এই লোনের সেবা আরেকটি ভিন্ন নামে পরিচালনা করে যার নাম হল হাউজহোল্ড ইনভেস্টমেন্ট লোন। আপনি যদি এই লোন নেন তাহল আপনি পাসোর্নাল লোন এর মত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাহলে আসুন হাউজহোল্ড ইনভেস্টমেন্ট লোন নেওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
ইসলামি ব্যাংক পাসোর্নাল লোন কিভাবে নিবেন?
আপনি এই লোন নিয়ে নতুন বাড়ি এবং অন্যান্য পাসোর্নাল কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এই লোন নেওয়ার বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে আসুন জেনে নেই।
লোনের পরিমান
১. সমস্ত মেট্টোপলিটন শহরগুলির জন্য ০.০৩ মিলিয়ন টাকা
২. জেলা ও পৌরসভাগুলির জন্য ০.২০ মিলিয়ন টাকা
৩. অন্যান্য : ০.১০ মিলিয়ন টাকা
লোন নেওয়ার বয়স সীমা:
যদি আপনি একজন ছা্ত্র হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনার কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর যদি অন্যান্য পেশাজীবি হয়ে থাকেন তাহলে সর্বনিম্ন ২৭ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে লোন নিতে পারবেন।
লোন এর সময় সীমা:
এই লোন নেওয়া তিন বছরের মধ্যে এই লোনের কার্যক্রম পরিসমাপ্তি করতে হবে। এই লোনের সর্বোচ্চ সময়সীমা ৩ বছর।
রিটার্ন রেট কত?
রিটার্ন রেট হিসাবে আপনাদের কাছ থেকে পরবর্তী সময়ে ১৬% চার্জ কেটে রাখা হবে। ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন: ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
ইসলামি ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন?
আপনি যদি ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান। তাহলে আপনাকে সবার প্রথম ইসলামি ব্যাংক এর গ্রাহক হতে হবে। মানে আপনাদের ইসলামি ব্যাংক এ একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তার পর আপনাদের ইসলামি ব্যাংক এর একটি লোনের ফরম কালেক্ট করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নেওযার জন্য যে ফরমটি রয়ছেে। সেই ফরম টি আপনাকে ইসলামি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কালেক্ট করতে হবে । তার পর সেই ফরমটি ফিলাপ করে নিতে হবে। এছাড়াও আরো যেসব বিষয় লাগবে তা নিম্নে দেওয়া হল।
সেলারি: আপনার মাসিক সেলারি স্টেটমেন্ট তাদের কাছে দিতে হবে। আর আপনি যদি ব্যবসা করেন তাহলে ব্যবসার একটি মিনি স্টেটসেন্ট তাদের দেখাতে হবে।
আপনার মাসিক আয় যদি ৫০ হাজার টাকা হয় তাহলে ইসলামি ব্যাংক আপনাকে ১০ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত লোন দিবে
ইসলামি ব্যাংক হোম লোন
বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক হোম লোনের জন্য গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা দিয়ে থাকে । এছাড়া পুরাতন বাড়ি সংস্করনের জন্য ১০ লাখ টাকা লোন দেন। লোন নেওয়ার জন্য ২ জন সচ্ছল ব্যাক্তি গ্যারান্টা হতে পারবেন।
লোন নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১, বায়া দলিল
২. এনইসি
৩. সিএস, এস এ, বি এস খতিয়ান
৪. ডিসিআর, নামজারি রশিদ, খতিয়ান
৫. এন আইডি বা পাসপোর্ট কপি।
৬. ব্যাংক কর্তৃক চাইলে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র।
৭. এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং লাইসেন্স
ইসলামি ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিং ঋণ
তরুন প্রজম্নের ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য ইসলামি নিয়ে এসেছে ফ্রিল্যান্সিং ঋণ। একজন ফ্রিল্যান্সার যে ধরনের জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবে তার সব ধরনের জিনিস পত্র কেনার আওতাভুক্ত এই ঋণ। দুই বছরের মধ্যে এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে
প্রয়োজন
১. ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে
২. যদি কোন জমি জামা থাকে তার বৈধ কাগজ পত্র এবং তার বাজার মূল্য ১ লাখ টাকার উপর হতে হবে।
৩. জমি সংক্রান্ত কাগজ প্রদান করতে হবে।
শিল্পখাত উন্নয়নে ইসলামি ব্যাংক লোন
বাংলাদেশে শিল্পের ব্যপকতার ফলে শিল্প বিপ্লবের দিকে আগাচ্ছে দেশ। গড়ে উঠছে নিত্য নতুন শিল্প। বিশেষ করে পোশাক ও ভারী শিল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। এই সকল শিল্প গঠনে প্রয়োজন প্রচুর পুঁজি। আর বাংলাদেশের মত মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের ভরসা লোন। যা বিদেশ থেকেও অনেক সময় আসে। এবং এই খাতে অবদান রাখছে বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। শিল্প লোন এস এম ই লোড নিতে পারেন ইসলামি ব্যাংক থেকে।
ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন: ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
শিল্পখাতে লোন নেওয়ার শর্ত গুলো-
১. যে শিল্প শুরু করতে চান বা করেছেন তার ট্রেড লাইসেন্স।
২. আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড।
৩. উক্ত ব্যাংকে একাউন্ট।
৪. ব্যাংক কর্তৃকপক্ষ কর্তৃক চাইলে অন্যান্য কাগজ পত্র।
বিজনেস/ ব্যবসায়ীক লোন ইসলামী ব্যাংক
ব্যবসা ক্ষেত্রে বিপ্লবী পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে। তাই ইসলামী ব্যাংক তরুনদের ব্যবসা খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য লোন দিচ্ছে। তাই বহুমূখী ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে নতুন নতুন উদ্দোক্তারা। এর জন্যে প্রয়োজন লোনের। যার ব্যবস্থা করছে সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক গুলো। তেমন বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকও উদ্দোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে দিচ্ছে ব্যবসা লোন দিয়ে থাকে। এই লোন নিতে যা যা শর্ত আপনাকে মানতে হবে –
১. ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র।
২. ট্রেড লাইসেন্স।
৩. ইসলামী ব্যাংকে অবশ্যই একাউন্ট থাকতে হবে।
৪. আপনার এন আইডি বা পাসপোর্ট।
রিয়েলস্টেট বিজন্যাস লোন
বর্তমানে রিয়েলস্টেট ব্যবসা বাংলাদেশে বেশ লাভজনক এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যবসার বর্তমানে নতুন দিক সূচিত হচ্ছে। বর্তমানে যার ফলে বেসরকারি ব্যাংক গুলো এই খাতে লোন দিতে আগ্রহী। কেনোনা ব্যাংক লোনের সাহায্য পেলে এই ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব। এই লোন নিতে আপনার যা যা দরকার হবে তাহলো-
১. আপনার ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকা চাই।
২. ব্যবসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও প্রমানাধি।
৩. জমির দলিল।
৪. এবং ব্যাংক কর্তৃক অন্য কোন প্রমাণ বা দলিল চাইলে তা।
কৃষি লোন ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশে কৃষকদের লোন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর রয়েছে আলাদা কৃষি শাখা, যা একসময় বহুল জনপ্রিয় ছিল। তবে বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংক গুলোও কৃষি লোন দিতে পিছিয়ে নেই। এই সারিতে এক ধাপ এগিয়েই আছে ইসলামী ব্যাংক। শিল্পের দিকে আগালেও এখনো দেশ কৃষি নির্ভর। তাই বেসরকারি সংস্থা গুলোর সহযোগীতাও জরুরি হয় এর উন্নায়ণে। অন্যদিকে বাংলাদেশে কৃষিখাতে সরকারি ভর্তুকি দিনকে দিন কমে আসছে। তাই কৃষকদের উন্নায়ণে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। লোন প্রদানের মাধ্যমে পাশে থাকছে। কেনোনা বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির প্রভাবে শিক্ষিয় তরুণেরাও কৃষি পেশায় অংশ নিচ্ছে। তাই ব্যাপক ভাবে কৃষি লোন দেয়া হচ্ছে। এই লোন নিতে যা যা কাগজপত্রের দরকার হয় তা হলো-
১. জাতীয় পরিচয় পত্র।
২. যে জমির লোন নিতে চান সেটির দলিল।
৩. যে বিশেষ কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে চান সেটি সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা দেখানো। যেমনঃ মৎস চাষ,খামার, মধু ৪. চাষ কিংবা মাশরুম চাষ।
ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন: ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি