চিকিৎসা হল যদি কোনো ব্যক্তির শরীরের কোন অংশে আঘাত থাকে বা আঘাত প্রাপ্ত হয় তাহলে সেই আঘাত প্রাপ্ত স্থানকে ভাল করার জন্য চিকিৎসা নেওয়া হয় বা নিয়ম কানুন ব্যবহার করে থাকে তাকেই চিকিৎসা বলে। আঘাত প্রাপ্ত হলে চিকিৎসা ছাড়া শরীরে কোন অংশে আঘাত ভাল করা সম্ভব নয়। রোগ নিরাময় করা জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস?
স্বাস্থ্য ভাল করার উদ্দেশ্যে ও রোগ নিরাময় করার উদ্দেশ্যে আমরা এই রোগের জন্য যে রোগ প্রতিষেধক বিষয়ে যে চিকিৎসা করে থাকি তাকেই চিকিৎসা বলে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান কি?
চিকিৎসা করে কোন রোগ থেকে ভাল হওয়া জন্য যে ঔষধ খাওয়া হয় বা নিয়ম কানুন মানা হয় এবং পরে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মুক্তি পাওয়া জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান মেনে যা করা হয় তাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে।
চিকিৎসা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হল স্বাস্থ্য ভাল ও রোগ থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসা করা প্রয়োজন। চিকিৎসা না করলে আমরা যে রোগে আক্রান্ত হই সে রোগ থেকে মুক্তি পাবনা। আর রোগ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের কোন কাজ বা কোন কিছু করতে ভাল লাগেনা তাই আমাদের রোগ থেকে বাঁচার চিকিৎসা করা দরকার।
চিকিৎসা ছাড়া কি ভাল হওয়া যায় না?
চিকিৎসা ছাড়া ভাল হওয়া যায় অবশ্যই কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক রোগ থেকে আর রোগ যদি ভাল না হয় তাহলে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা করাতেই হবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক:
চিকিৎসা বিজ্ঞানর ইতিহাস খুবই প্রাচীন। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক গ্রিকের মহান চিকিৎসক হিপোক্রোটিস এই হিপোক্রোটিসকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। প্রাচীন জগতের আরেক জন্য হল বিখ্যাত চিকিৎসক গ্যালেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানকে তিন ভাগে করা যায়:
প্রাচীন যুগ
প্রাচীন চিকিৎসার প্রমাণ পাওয়া গেছে মিশরীয় ঔষধ, আয়ুর্বেদিক ঔষধেক(যা ভারতীয় উপমহাদেশে সুপ্ররিচিত ছিল), বেবিলনিয়নের ঔষধে, ক্লাসিক্যাল চীনা ঔষধের মাঝে যা আধুনিক ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধের পূর্বসূরি বলে ধারণা করা হয়ে থাকে, প্রাচীন গ্রিক ঔষধ এবং রোমান ঔষধ থেকে। ১৬০০ খ্রিস্টাপূর্বে এডউইন স্মিথ প্যাপিরাস সার্জারির উপর প্রথম প্রয়োগ করা হয়। এবং ১৫০০ খ্রিষ্টাপূর্বে ইব্রাইস প্যাপিরাস কাজ করেছিলেন যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে পাওয়া গেছে।
মধ্যযুগ
মধ্যযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রচুর উন্নতি লাভ করে। একজন মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম হল আবু আলী হোসাইন ইবনা সিনা ছিলেন সবচেয়ে বিখ্যাত চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তীব রচনা করেছিলেন। এটি উনবিংশ শতব্দী পর্যন্ত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাধান বই হিসেবে পাঠ ছিল। আরবিতে ইবন সীনাকে আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুলের শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে ছিল। তিনি পশ্চমের দেশগুলোতে অ্যাভিসিনা নামে পরিচিত ছিল। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন জনক নামে পরিচিত। কিছু ইসলামী চিকিৎসা অগ্রগামীদের মধ্যে রয়েছে ইমহোটেস, হিপোক্রোটস, আরও রয়েছে ফারসি আভিসিনানের সাথে তাকেও “মেডিসিনের জনক” বলা হয়ে থাকত।
আধুনিক যুগ
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল যুগ বলা হচ্ছে এই ঊনবিংশ এবং বিংশ শতকে। বিশেষ করে বিংশ শতকে প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি বিশ্ব যুদ্ধ সংঘটিত হওয়া চিকিৎসা করা সময় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। ১৮৮৮ সালে রর্বাট কোচের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগের সংক্রমণের আবিষ্কার হওয়া পর পরেই ১৯০০ সালে কাছাকাছি সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করা হয়ে ছিল। আর এটি হল আধুনিকতার একটি বড় সাফল্য। এই আধুনিক যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ এখন ঔষধ নির্ভরশীলতা হয়ে পড়ছে দিনদিন। প্রথম অ্যান্টিবায়োটিকটি ছিল অ্যারফেনামাইন যা ১৯০৮ সালের ফল এরিলিচ আবিষ্কার করেন। পরে আবিষ্কার করেন তিনা ব্যাক্টেরিয়া যে বিষাক্ত রঞ্জন গ্রহণ করে মানুষের তার কোষে তা কখনই গ্রহণ করেনা।
আল-কুরআনের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস কিছু কথা:
ইসলাম ধর্মের জ্ঞানার্জনের উপর অনক গুরুত্ব দেওয়া হয়ছে। পবিত্র কুরআনে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়ছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে ১৮ই ফেব্রুয়ারি “কোরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান” শীষক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছিল সেই সেমিনারে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞারা কোরআনের কিছু দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরা হয়েছিল। এই কোরআন থেকে তারা গবেষনা করে চিকিৎসার বিজ্ঞানকে এক ব্যাপক উন্নতি দিকে নিয়ে গেছেন। আবু আলী সিনা,জাকারিয়া ও ইবনে রূশদসহ মুসলমানদের বহু মনীষী চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যাপাক ভুমিকা রাখেন। আল্লহতায়ালা নিজেই বলেছেন যে, কুরআন হচ্ছে মানুষের জন্য সরল ও সঠিক পথের নির্দেশক এবং পারলৌকিক ও পার্থিব জীবনের কল্যাণ নিশ্চিতকারী গ্রস্হ। সুরা রা’দের ২৮ নম্বর আয়াতে বলেছেন যে, কেবলমাত্র আল্লাহকে স্মরণের মাধ্যমেই আত্মা প্রশাস্তি লাভকরা। ইসলাম ধর্মে রোগ প্রতিরোধের ওপরই সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে শুধুমাত্র কুরআন শরীফের মধ্য। কুরআন শরীফ আছে ও রাসূল (স:) আর বলছেন যে কিছু কিছু খাদ্য খাবার জন্য বলেছেন যেগুলো রোগ উপশম করে এবং শরীর ভাল রাখে। আর কিছু খাদ্যেরে কথা নিষেধ করেছেন এই গুলো খেলে আমাদের রোগে আক্রান্ত করে তাকে। পবিত্র কুরআনে মানসিক ও আত্মিক সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে তাকে। রাসূল(স:) বলেছেন যে, রোগ নিরাময়ের ক্ষেএে মধুর মত কার্যকরি রোগ নিরাময়ের উপাদান আর নেই। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এটি প্রমাণিত হয়েছে এবং মধুর কিছু রোগ নিরাময়ের কিছু কার্যকরি বিশেষত্ব রয়েছে। তাছাড়া পবিত্র কুরআনে মানুষেকে স্বাস্থ্য তাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কুরআন শরীফে সকল জিনিসের সমস্যা সমাধান রয়েছে। ছোট থেকে বড় সব বিষয়ে রয়েছে। উপরুক্ত এই গুলোর মাধ্যেমেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস রচনা হয়েছে। আর এই ছোট থেকেই এই বিশাল চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বড় প্রসাদ গড়েছে